উৎসব সিনেমার ‘জেসমিন’ এর অতীতের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে এই প্রজন্মের অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। সাদিয়া আয়মান অভিনীত সেই সিনেমার ‘ডানা থাকলেই উড়তে হয় না জেসমিন’ সংলাপটি এখন নেটিজেনদের আলোচনায়।
কারণ, নারীর স্বাধীনতায় কতটা বাধ্যবাধকতা— তা যেন এই কথাটুকুতেই প্রকাশ পায়। আর নিজের স্ত্রী জেসমিনের স্বাধীনতার প্রতি এভাবেই হস্তক্ষেপ করেছিলেন খাইষ্টা জাহাঙ্গীর, ফলে একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছিলেন তারা।
পর্দায় এমনটা দেখা গেলেও বাস্তব জীবনে এমন কেউ তার জীবনে আসুক, চান না এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে সাদিয়া আয়মানকে প্রশ্ন করা হয়— যদি খাইষ্টা জাহাঙ্গীরের মতো বাস্তবে তার স্বামী কৃপণ হয় তাহলে কি হবে?
এর জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমত কৃপণ লোককে আমি বিয়ে করবো না অবশ্যই। তবুও আগে থেকে তো বোঝা যায় না। কিন্তু এখন তো আর সেই যুগ নেই যে আগে থেকে জানাশুনা ছাড়াই বিয়ে হয়ে যায়। এখন আমরা যথেষ্ট ম্যাচিউরড। তাই বিয়ের আগে অ্যাটলিস্ট ১-২ দিন কথা বলা হবে। একটা মানুষের সাথে চললে বা মিশলে বোঝা যায়। আর যাকে চেনার তার সাথে ২ দিন কথা বললেই বোঝা যায় সে কেমন, আর না হয় ২০০ দিনেও চেনা যায় না।’
খাইষ্টা জাহাঙ্গীরের মত বিয়ের পর যদি আপনাকে পড়াশোনা বা অভিনয় থেকে বিরত করতে চান, তবে কী করবেন?
জবাবে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘প্রথমত, যে আমাকে বিয়ে করবে, সে তো আগে থেকেই জানবেই আমি কী করি, আমার ক্যারিয়ার কী। আর আমি যদি বিয়েও করি, সেটা আগে থেকেই বোঝাপড়ার মধ্যেই হবে। কিন্তু বিয়ের পর যদি হঠাৎ বলা হয়—কাজ ছেড়ে দাও, আমার মনে হয় না আমি সেই সুযোগ দেব।‘
অভিনেত্রী আরও বলেন, “সাধারণত সবাই ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে গিয়ে বিয়ে করে। আমি যদি ৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই, তখনও আমার ক্যারিয়ার পিক অবস্থা। সো, তখন আমি অভিনয় থেকে সরে যাব না। আর আমি যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেব, তখন আমার মধ্যেও কিছু দায়বদ্ধতা থাকবে, তাই আমি ওই ভাবেই প্ল্যান করবো যাতে ২ সাইডই ব্যালান্সড হয়।‘