মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন, তবে নিজে প্রত্যক্ষ করেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করে দোষীদের আইনের আওতায় আনবেন।”
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় তিনি দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফারুক-ই-আজম বলেন, “আগের মতো একদলদর্শী বা একব্যক্তিদর্শী নির্বাচন আর হবে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারসহ সবাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।”
পরিদর্শনকালে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন কাদের, মিরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাদিম হায়দার চৌধুরী, মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান, জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিম এবং মিরসরাই পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহন দে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার বলেন, “পূজা চলাকালীন সময়ে যেকোনো অস্থিতিশীলতা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পূজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মনিটরিং টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পূজার সময় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরও শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। রাতের সময়ও পুলিশ কর্মকর্তারা আপনাদের পাশে থাকবেন।”
তিনি আরও জানান, এ বছর মিরসরাইয়ে পূজা উদযাপনের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ৫০০ কেজি চাল সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২১ হাজার ৫০০ টাকা।

