শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

স্ক্যাবিস ও দাদ রোগী বাড়ছে কেন?

প্রকাশিত :

স্ক্যাবিস (Scabies) হলো এক ধরনের পরজীবী মাইট (Sarcoptes scabiei) দ্বারা সৃষ্ট ত্বকের সংক্রমণ। স্ক্যাবিসের ইতিহাস অনেক পুরোনো। প্রায় ২,৫০০ বছর আগে এরিস্টটল স্ক্যাবিস মাইট সম্পর্কে প্রথম বর্ণনা করেন। প্রাচীন রোমান চিকিৎসক সেলসাস স্ক্যাবিসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লিখেছিলেন।

আঠারশো শতাব্দীর শেষভাগে ইতালীয় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জোভান্নি কসমো বোনেমো (Giovanni Cosimo Bonomo) স্ক্যাবিসের কারণ হিসেবে Sarcoptes scabiei মাইটকে চিহ্নিত করেন, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ছিল। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এটি বারবার প্রাদুর্ভাব ঘটিয়েছে।

এই ক্ষুদ্র মাইটগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। এরা ত্বকের উপরের স্তরে গর্ত করে এবং সেখানে ডিম পাড়ে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট লালচে দানার মতো ফুসকুড়ি বা ফোসকা দেখা যায়। এতে তীব্র চুলকানি হয়। বিশেষ করে রাতে বা গরম পানির সংস্পর্শে এলে যা অনেক বেড়ে যায়।

সাধারণত আঙুলের ফাঁকে, কব্জিতে, কনুইয়ের ভাঁজে, বগলে, কোমরের চারপাশে, নাভির আশেপাশে এবং যৌনাঙ্গের চারপাশে এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। তবে ছোট বাচ্চা এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে মুখ, ঘাড়, হাতের তালু এবং পায়ের তলায়ও দেখা যেতে পারে।

ক্রাস্টেড স্ক্যাবিস (Crusted Scabies) স্ক্যাবিসের একটি গুরুতর রূপ, যা দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। এতে ত্বকে পুরু, খসখসে আবরণ তৈরি হয় এবং প্রচুর মাইট থাকে।

স্ক্যাবিস চিকিৎসার জন্য সাধারণত কিছু ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা হয় যা মাইট এবং তাদের ডিম মেরে ফেলে। এর মধ্যে পারমেথ্রিন (Permethrin) ৫ শতাংশ ক্রিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং কার্যকর ওষুধ। সাধারণত রাতে গোসলের পর ঘাড় থেকে নিচের সব শরীরে লাগানো হয় এবং ৮-১৪ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলা হয়। ৭ দিন পর আবারও একই নিয়মে ব্যবহার করতে হতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশে স্ক্যাবিস এবং ডারমাটোফাইটস উভয়ই জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে স্ক্যাবিস নীরব মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে স্ক্যাবিসের প্রকোপ ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা প্রমাণ করে।
বেনজাইল বেনজয়েট (Benzyl Benzoate) ২৫ শতাংশ (বড়দের জন্য) বা ১২.৫ শতাংশ (ছোটদের জন্য) লোশন বা ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
তবে কিছু ক্ষেত্রে, ওরাল মেডিসিন যেমন আইভারমেক্টিন (Ivermectin) এবং চুলকানি কমানোর জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ব্যাবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যা অতিরিক্ত চুলকানির ফলে সৃষ্ট হওয়া ঘা। এ ধরনের ইনফেকশন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে।

সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং উচ্চ তাপে শুকিয়ে নিতে হবে। সম্ভব হলে রোদে শুকাতে দেওয়া বা ইস্ত্রি করা। যেসব জিনিস ধোয়া সম্ভব নয়, সেগুলো একটি সিল করা ব্যাগে অন্তত ৩-৭ দিন রেখে দিলে মাইটগুলো মারা যাবে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ যারা সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের সবারই একই সাথে চিকিৎসা করানো জরুরি, কারণ উপসর্গ দেখা না গেলেও তারা আক্রান্ত হতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত গোসল করা এবং পরিষ্কার জামাকাপড় পরা, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি বা দীর্ঘক্ষণ শারীরিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। বস্তি, হোস্টেল, আশ্রয়কেন্দ্র বা যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে স্ক্যাবিসের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে পারমেথ্রিন এবং আইভারমেক্টিনের প্রতি মাইটের ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিশেষত কিছু অঞ্চলে। এর কারণ হতে পারে ওষুধের ভুল ব্যবহার (যেমন, ডোজ কম দেওয়া বা কোর্স সম্পূর্ণ না করা) এবং মাইটের জিনগত পরিবর্তন। এটি চিকিৎসার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং রোগ নিরাময়ে সময় বাড়িয়ে দেয়।

অন্যদিকে ডারমাটোফাইটস (Dermatophytes) হলো এক ধরনের ছত্রাক, যা দাদ (Ringworm) বা ডার্মাটোফাইটোসিস (Dermatophytosis) নামক ত্বকের সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এই ছত্রাকগুলো ত্বক, চুল এবং নখের কেরাটিন নামক প্রোটিনের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে ও বৃদ্ধি পায়।

ডারমাটোফাইটস বা ছত্রাক সংক্রমণের ইতিহাসও বেশ পুরোনো। প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা দাদ রোগের বর্ণনা দিয়েছিলেন। মধ্যযুগেও এর অস্তিত্ব ছিল। সতেরশো শতাব্দীতে মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কারের পর ছত্রাককে রোগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। ১৮৪১ সালে রেমাক (Remak) প্রথম প্রমাণ করেন যে, দাদ এক প্রকার ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট হয়। বিংশ শতাব্দীতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের আবিষ্কার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিপ্লব আনে।

প্রথমেই ত্বকে গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির লালচে দাগ দেখা যায়, যার কিনারা উঁচু এবং আঁশযুক্ত হতে পারে। দাগের মাঝের অংশটি তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার বা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, যা দেখতে আংটির মতো লাগে–তাই একে ‘রিংওয়ার্ম’ বলা হয়।

আক্রান্ত স্থানে চুলকানি হলেও তবে স্ক্যাবিসের মতো তীব্র নাও হতে পারে। আক্রান্ত স্থানে ত্বক শুষ্ক, খসখসে এবং আঁশযুক্ত হয়ে থাকে। ত্বকে আক্রান্ত এরিয়া অনুযায়ী এর বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন—
–Tinea corporis (শরীরের দাদ): শরীরের যেকোনো স্থানে গোলাকার, চুলকানিযুক্ত দাগ।
–Tinea pedis (পায়ের দাদ/অ্যাথলেটস ফুট): পায়ের আঙুলের ফাঁকে চুলকানি, লালচে ভাব, আঁশযুক্ত ত্বক এবং ফোসকা।
–Tinea cruris (কুঁচকির দাদ/জক ইচ): কুঁচকি, ঊরু এবং নিতম্বের ভাঁজে চুলকানিযুক্ত লালচে দাগ।
–Tinea capitis (মাথার ত্বকের দাদ): মাথার ত্বকে চুল পড়া, আঁশযুক্ত দাগ এবং কখনো কখনো পুঁজযুক্ত ফোসকা।
–Onychomycosis (নখের ছত্রাক): নখ মোটা, ভঙ্গুর এবং বিবর্ণ হয়ে যায়।

ডারমাটোফাইটস সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য সাধারণত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

টপিক্যাল অ্যান্টিফাঙ্গাল যা ত্বকের উপরের স্তরের সংক্রমণের জন্য ক্রিম, লোশন, পাউডার বা স্প্রে আকারে যেমন ক্লট্রিমাজল (Clotrimazole), মাইকোনাজল (Miconazole), টার্বিনাফাইন (Terbinafine) ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এগুলো আক্রান্ত স্থান এবং তার আশেপাশের ২ সেমি সুস্থ ত্বকেও লাগাতে হবে এবং রোগের লক্ষণ কমে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে হবে (সাধারণত ৪-৮ সপ্তাহ)।

ওরাল অ্যান্টিফাঙ্গাল সাধারণত যদি সংক্রমণ গুরুতর হয়, ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে বা নখ বা মাথার ত্বক আক্রান্ত হয়, তাহলে মুখে খাওয়ার অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ যেমন টার্বিনাফাইন (Terbinafine), ইট্রাকোনাজল (Itraconazole), গ্রাইসিওফুলভিন (Griseofulvin) ইত্যাদি দেওয়া হয়। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে খেতে হতে পারে (যেমন, নখের ক্ষেত্রে ৬ মাস থেকে ১ বছর)।

এক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আক্রান্ত স্থান শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখা জরুরি। আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র যেমন তোয়ালে, চিরুনি ইত্যাদি অন্যের সাথে ভাগ করা উচিত নয়।

সংক্ষেপে, স্ক্যাবিস হলো এক প্রকার মাইট (Mite) দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ, যা তীব্র চুলকানি এবং ত্বকের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে। অন্যদিকে, ডারমাটোফাইটস হলো ছত্রাক (Fungus) দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ, যা সাধারণত গোলাকার লালচে দাগ (দাদ) এবং আঁশযুক্ত ত্বক তৈরি করে। উভয় ক্ষেত্রেই সঠিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের প্রতি রেজিস্ট্যান্স একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে। এর কিছু প্রধান কারণ রয়েছে যেমন অসম্পূর্ণ চিকিৎসা যেক্ষেত্রে রোগীরা লক্ষণ কমার সাথে সাথে ওষুধ বন্ধ করে দেন ফলে ছত্রাক সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয় না এবং রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসি থেকে নিজে নিজে ভুল অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করা, দাদের উপর স্টেরয়েডযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে সাময়িক স্বস্তি এলেও এটি ছত্রাকের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং রোগকে আরও জটিল করে তোলে, অপ্রয়োজনে বা অতিরিক্ত অ্যান্টিফাঙ্গাল ব্যবহারের ফলে ছত্রাক ওষুধের প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে ইত্যাদি।

এই রেজিস্ট্যান্সের কারণে রোগ নিরাময়ে দীর্ঘ সময় লাগছে এবং প্রচলিত ওষুধ কাজ না করায় নতুন ও ব্যয়বহুল ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে।
দাদ প্রতিরোধে শরীর এবং ত্বকের ভাঁজ শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখতে হবে, আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করে ঢিলেঢালা ও শ্বাসপ্রশ্বাস যোগ্য পোশাক পরা উচিত বিশেষ করে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায়, তোয়ালে-চিরুনি-জুতা-পোশাক ইত্যাদি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অন্যের সাথে ভাগ না করা, পাবলিক শাওয়ার-সুইমিং পুল বা জিম-এ গেলে স্যান্ডেল পরা, পোষা প্রাণীর দাদ থাকলে সেগুলোরও চিকিৎসা করানো, দাদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে ভুল চিকিৎসার প্রবণতা কমানো।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে স্ক্যাবিস থেকে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (ইমপেটিগো-Impetigo) বা কিডনি সমস্যা হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। দাদের ক্ষেত্রেও রোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশে স্ক্যাবিস এবং ডারমাটোফাইটস উভয়ই জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত। বিশেষ করে স্ক্যাবিস নীরব মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে স্ক্যাবিসের প্রকোপ ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা প্রমাণ করে।

উভয় রোগই অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যেমন বস্তি, রোহিঙ্গা শিবির, মেস, কারাগার এবং পরিবারগুলোয়। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলগামী শিশুরাও ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারণ জনগণ এই রোগগুলো সাধারণ চুলকানি বা এলার্জি মনে করে অবহেলা করে। ফার্মেসি থেকে ভুল বা অসম্পূর্ণ চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা এখনো বেশি।

স্ক্যাবিসের ক্ষেত্রে পারমেথ্রিন এবং ডারমাটোফাইটস বা দাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়া (রেজিস্ট্যান্স) একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর ফলে চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়বহুল হচ্ছে এবং রোগ সম্পূর্ণরূপে সারছে না বরং বারবার ফিরে আসছে। অনেক সময় ভুল রোগ নির্ণয় এবং তার ফলে ভুল চিকিৎসা হয়, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে। নিম্ন আয়ের পরিবার এবং বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুযোগ কম থাকে যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে স্ক্যাবিস থেকে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ (ইমপেটিগো-Impetigo) বা কিডনি সমস্যা হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। দাদের ক্ষেত্রেও রোগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

এককথায় এই রোগগুলো মানুষের কর্মক্ষমতা কমায়, স্কুলে উপস্থিতি ব্যাহত করে এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার পরিবারগুলোর উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে।
সামগ্রিকভাবে, স্ক্যাবিস এবং ডারমাটোফাইটস উভয়ই বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। সচেতনতার অভাব, ভুল চিকিৎসা, এবং ওষুধের রেজিস্ট্যান্সের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সঠিক রোগ নির্ণয়, কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ডা. কাকলী হালদার : এমবিবিএস, এমডি (মাইক্রোবায়োলজি), সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

সর্বশেষ

A Galinha e o Ouro Domine o Chicken Road e Alcance o Ovo Dourado com um RTP Excepcional de 98%.

A Galinha e o Ouro: Domine o Chicken Road e Alcance o Ovo Dourado...

Joker Poker Power Poker Gioca gratis su CasinoHEX Italia

Alcune delle mie più grandi passioni sono la scrittura, lo sport e il gioco...

Spingrande Casino Vip Program: Unlock Elite Rewards & Perks

This recreation is played across five reels, providing 20 payline mixtures. Come and play...

Find The Solutions To Your Spin Casino Faqs

On the other hand, this model of free spins normally doesn’t come alone, usually...

আরও পড়ুন

“প্রজন্ম মিরসরাই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫ অনুষ্ঠিত”

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রজন্ম মিরসরাই মেধাবৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫। আজ শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫)...

“ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ গঠনে অংশগ্রহণ না করলে জাতি অন্ধকারে থেকে যাবে” — এডভোকেট সাইফুর রহমান

মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী আবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী...

“ আজ থেকে আমার গ্রুপ বিলুপ্ত, এখন আমরা ধানের শীষের সৈনিক” — নুরুল আমিন চেয়ারম্যান

“আজ থেকে মিরসরাইয়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের বিলুপ্তি ঘোষণা করছি। বিএনপির চেয়ারম্যান নামে আর কোনো গ্রুপ...