চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড গড়িয়াইশ গ্রামে চোরের বিচারকাজ চলাকালীন সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ দিনে গড়িয়াইশ গ্রামে অন্তত চারটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর রাতে স্থানীয় সুমন মিয়ার (ম্যানেজার বাড়ি) বাড়ি থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার চুরি হয়। তদন্তে জানা যায়, একই এলাকার জাকারিয়া (২২) চুরি করা সিলিন্ডার নিজ ঘরে সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে রিপন (৩০) নামে আরেক সহযোগীর সহায়তায় চুরিকৃত মালামাল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী রিপনকে আটক করে।
চোর জাকারিয়া পালিয়ে গেলেও সহযোগী রিপনকে স্থানীয়ভাবে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতা রবিউল হোসেন রবি, জামায়াতে ইসলামী নেতা ও ৪নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি নূর হোসেনসহ এলাকার কয়েকজন মুরব্বি উপস্থিত ছিলেন।
বিচার চলাকালে জামায়াতে ইসলামী নেতা নূর হোসেন অভিযুক্ত রিপনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে বিএনপি নেতা রবিউল হোসেন রবি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, চুরির মালসহ ধরা পড়লেও ভুক্তভোগী সুমন মিয়া ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেননি, তাই এখনই পুলিশে দেওয়া উচিত নয়। বরং এক সপ্তাহ সময় দিয়ে মূল অভিযুক্ত জাকারিয়াকে ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লোককণ্ঠ-এর ৯নং মিরসরাই সদর ইউনিয়ন প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে বিএনপি নেতা রবিউল হোসেন রবি ও তার অনুসারীরা সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্থানীয় যুবসমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এবং বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, চোর জাকারিয়া পরে ফোনে এক ব্যক্তিকে জানায় যে, সে একা নয়; এলাকার অন্তত ১০–১২ জন নেশাগ্রস্ত যুবক নিয়মিত চুরি ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এলাকাবাসী এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও স্থায়ী প্রতিকার দাবি করেছেন।

