চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজ টানা তিন দিন ধরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা রবিবারও অব্যাহত থাকে। এরপর সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পুনরায় দুই গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রবিবার রাতে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আরিফ হোসেন গুরুতর আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া লেন্সার তার গলায় গিয়ে লাগে, এতে তার গলার নলি ছিঁড়ে ছিদ্র হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) এ চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
সোমবারের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এক পক্ষ অপর পক্ষের ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগের দিন রবিবার রাতের সংঘর্ষের সময় আকাশে লেন্সার ও ফোটকা ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। টানা তিন দিনের উত্তেজনা ও সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিকবার পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। তবে সংঘর্ষ থামানো সম্ভব না হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ সোমবার শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।
একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, লাগাতার সংঘর্ষে তাদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য তারা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলেজ ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

