- চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজার সংলগ্ন খৈয়াছড়া ঝরনা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক অনন্য আকর্ষণ। ছুটির দিনকে ঘিরে প্রতিদিনই এখানে ভিড় করেন অসংখ্য ভ্রমণপিয়াসী। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ, ঝরনার ঠান্ডা স্রোত আর চারপাশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের আগ্রহ।
স্থানীয়রা জানান, খৈয়াছড়ায় সাত থেকে এগারোটি ঝরনা রয়েছে বলে বিভিন্ন মত প্রচলিত। এর মধ্যে প্রথম ঝরনাটি সহজে দেখা যায় বলে বেশির ভাগ পর্যটক এখানেই সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যান। তবে ঝুঁকি নিয়েও অনেকে উপরের ঝরনাগুলো ঘুরে দেখতে চান। প্রতিটি ঝরনার রূপ ভিন্ন, কোথাও প্রবল পানির স্রোত, কোথাও আবার শান্ত স্রোতধারা।
পর্যটকরা জানান, খৈয়াছড়ার পথে হেঁটে যেতে হয় কর্দমাক্ত মাটি আর পিচ্ছিল পাথরের ওপর দিয়ে। ভারসাম্য রক্ষা করতে অনেকেই বাঁশ বা লাঠি ব্যবহার করেন। ভ্রমণের সময় পাহাড়ি পথে বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়, যা যাত্রাকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সহজ যোগাযোগব্যবস্থার কারণে এই ঝরনাটি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে পর্যটকদের দাবি, খৈয়াছড়ার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা, বিশ্রামাগার ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় আরও মনোযোগী হতে হবে।
কীভাবে যাবেন: চট্টগ্রাম শহরের এ কে খান থেকে কিংবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছড়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে নামতে হবে। সেখান থেকে সিএনজিতে অর্ধেক পথ এবং বাকি পথ পায়ে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে হয়।
কোথায় থাকবেন: বড়তাকিয়া বাজারে থা

কার ব্যবস্থা নেই। তবে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড কিংবা চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ভ্রমণকারীরা থাকতে ও খেতে পারবেন।
লেখক: শিক্ষার্থী, বিবিএ অনার্স, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (৩য় বর্ষ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ওমরগনি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম।

