আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল হুমকি দিচ্ছেন। অত্যন্ত জোর করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধ
বার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বর্ষীয়ান রাজনীতিক কাজী জাফর আহমেদ ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে, নষ্ট করেছে। মানুষের মন মানসিকতা সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন—কোনোদিন রাজনীতিতে হতাশ হইনি । সবসময় সবাইকে সাহস দিয়েছি । ইদানীং মাঝে মাঝে হতাশার ছায়া লক্ষ্য করি। বলবেন কেন?-যেদিকে তাকিয়ে দেখি-দেশের বেশিরভাগ মানুষই নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্নীতি, দুর্নীতি, দুর্নীতি-কোনো অফিস আদালতে যেতে পারবেন না। আগেই বলেছি, আগে ঘুষ দেয়া লাগতো এক লাখ এখন পাঁচ লাখ দিতে হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন—অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রে যেতে সংস্কারের মধ্যে নির্বাচনের একটা তারিখও ঘোষণা হয়েছে। আমরা একসাথে যারা আন্দোলন করেছি, সবাই মিলে সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছি। সংস্কারের সবগুলোই ওখানে আছে। সুতরাং সংস্কারের পক্ষে আমরা প্রথম থেকে। কারণ আমরা উপলব্ধি করেছিলাম—বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সংস্কার করার জন্যে সব রকম সহযোগিতা সংস্কার কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে করছি। কোথাও বাধা সৃষ্টি করিনি। কখনো কোনো বড় রকমের দাবি তুলে রাজপথে নেমে সরকারকে বিব্রত করিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন—দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজ কিছু রাজনৈতিক দল বা মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল বা ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলছে । এমন দাবি তুলছে, যার সঙ্গে মানুষ পরিচিত নয়, সংস্কার শব্দটার সঙ্গেই তো আমাদের সাধারণ মানুষ পরিচিত না। সংখানুপতিক বা পিআর পদ্ধতি বুঝবে না। এটা বুঝতে সময় লাগবে কিন্তু তবে এটা খুবই কঠিন।